বসন্তের প্রথম প্রহরে, গত শীতের হাড়ভাঙা খাটুনির পর
সমগ্র পৃথিবী যখন সন্ত্রস্ত- আধো-ঘুম আধো-জাগরণে
সূর্য তখনো গায়নি নতুন দিনের গান; নির্জন আঁধারে
দুরন্ত পথিক তখন ছুটে চলে কোন এক দূর অজানার টানে
গহীন অন্ধকার চারপাশ, হঠাৎ বিকট শব্দে হানা দিয়ে যায়
গম্ভীর কোন দূরপাল্লার দানবীয় ট্রাক
মূহুর্তের জন্য গুড়িয়ে দেয় শান্ত রাতের পরিচিত নিস্তব্ধতা
তবুও সে ছুটে চলে অজানার পানে, পাশে ফেলে এই শহর
শহরের বিষাক্ত বাতাস, ভঙ্গুর দালানকোঠা
জাঁকিয়ে বসা সভ্যতা, সব কিছু বলি দিয়ে
দুর্বিনীত পথিকের পথচলায় কখনো থমকে দাঁড়ায় সময়ের কাঁটা
স্বৈরাচারি অধীস্বরের মত গর্জে ওঠে, “থামো! আর একবিন্দুও এগুবেনা!
কোথায় যাচ্ছো অন্ধের মতন? এক্ষুণি উল্টোদিকে ফেরো!
আপন করে নাও ঐ শহরের পঙ্কিল ধূলিধুসরিত কাঁকর“
দৃঢ় সংকল্পে মোহাবিষ্ট পথিক তখন ভাবে
আর একটু পথ চললেই তো সে খুঁজে পাবে
আমাদের স্বপ্নে দেখা,ধূসর কুয়াশার চাদরে ঢাকা
আদি, অকৃত্রিম কোন শিল্পীর তুলিতে আঁকা
তোমার আমার চিরচেনা, পরাবাস্তব সেই প্রান্তর।।